ভালোলাগা কিছু কথা

বন্ধু...
 মানুষের জীবনে নানা সময়ে নানা ধরণের মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে। স্মৃতিপটে জমা হয় অম্লমধুর নানা ঘটনার। পৃথিবীতে একজন মানুষের সাথে অন্য মানুষের যতরকম সম্পর্ক হয়, তার মধ্যে অন্য- তম হল "বন্ধু"

                 বন্ধুত্ব এমনই এক সম্পর্ক যা-
                  -'- অমর, অক্ষয়, অবিনশ্বর-'-

  আবার, মানুষের জীবনে নানা রকম বন্ধু থাকে। সময়ের বন্ধু, অসময়ের বন্ধু, দরকারি বন্ধু, বেদরকারি বন্ধু, ইচ্ছে করলে আরও নানা কিসিমের বের করা সম্বব।
কিন্তু, যে বন্ধুটির সঙ্গে আপনি-আপনার জীবনের সকল আলোকিত আর অন্ধকার ঘটনার কথা শেয়ার করতে পারবেন, নিরবিদায় ভাগ নিতে পারবেন হাসি-কান্না, দুখ-আনন্দ। সেই বোধ করি আপনার কাছে প্রকত বন্ধু হিসাবে বিবেচিত হবে।


    এই প্রকত বন্ধুত্তের মাঝে কখনো কখনো দেখা দেয় কণ্টকময় তা। যার অন্যতম কারণ, প্রিয় বন্ধুর সাথে আরেক জনের সম্পর্ক-


                              "বন্ধু বনাম প্রেম"


   একজন ভালো বন্ধু কখনই আরেক বন্ধুর সম্পর্কে বাঁধা দিবেনা বা দেয়না। কিন্তু, একথা সত্যিই কষ্টের যদি সেই বন্ধুটি নতুন আসা  মানুষটির জন্য পুরনো বন্ধুকে ভুলে যায় বা এড়িয়ে চলে।


এরকম ঘটনার শিকার একজন বলেন,
আমার ছয় বছরের বন্ধুটি আমার মতামত কে গুরত্ত না দিয়ে এক বখাটে মেয়ের পিছনে ঘুরা শুরু করেছিলো। ওরা নিয়মিত ডেট- এ যেত। আমি অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু, কিছুতেই কাজ হয়নি। শেষমেশ ওর পরিনতি পর্যন্ত সহ্য করতে হয়েছে। ওর ভালবাসার মানুষটি যখন ওকে দুঃখ দিয়ে চলে যায়, তখন ওর চোখের পানি আর ভাঙ্গা হৃদয়ের শব্দ আমার জীবন কেও অতিষ্ঠ করে তুলছিল।


এমন ঘটনা তরুণ বয়সে বিশেষ করে টিন এজ সময়ে বেশি ঘটে থাকে। Boy Friend, Girl Friend এক সময় হরহামেসাই তৈরি হয় আবার ধ্বংস হয়। কিন্তু, ভালো "বন্ধুত্ব" হল, অমর এবং অক্ষয় সম্পদ। বন্ধুটি হল অবিনশ্বর সম্পর্ক।


যে বন্ধুটি সারাজীবন বা জীবনের দীর্ঘ একটি সময় আপনার সাথে থেকেছে। সেই কেবল আপনার মনের কথা ভালো বুঝতে পারবে।
তাই সবার উদ্দেশে বলছি,


কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে জরালেও আপনার বন্ধুটির কথা ভুলে যাবেন না।


কারণ, একজন প্রকত বন্ধুই হতে পারে অন্ধের যষ্টি!!!


                                                     মশিউর রহমান
                                                     ০২/০৮/২০০৮




মনের মানুষের জন্য...


                      তুমি যদি চাও সূর্য কে নিয়ে যাবো 
                                    তুমাদের বাড়ি, 
                       তুমি যদি চাও অক্সিজেনের সাথে
                                 করে দেবো আরি।


                       যদি তুমার দু'চোখ রাত্রির খোঁজে
                                পৃথিবীকে দেবো মুড়ে,
                           তুমি চাইলে বোবা পৃথিবীটা
                              ভরে দেবো সুরে-সুরে...। 


নচিকেতার মত অনেকেই প্রিয় মানুষটির উদ্দেশে এ রকম হাজারো সপথ বাক্য পাঠ করি। যদিও বার্নঠ শ বলেছিলেন,


               প্রেম হল একটা জ্বলন্ত সিগারেটের মতো,
                যার শুরু আগুন দিয়ে এবং শেষ ছাইয়ে।


এ রকম পরিনতির কথা জেনেও আমরা কেউ কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। আর থাকারও কথা না।
প্রথম মানব ভালবেসেই গন্ধম ফল খেয়েছিল স্রষ্টার নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে। যার ফলশ্রুতিতে স্বর্গ চ্যুত হয়ে আবার ভালবাসার বলেই বহু বছর পর হাওয়ার সঙ্গে মিলন ঘটে। 


*** হেলেন কে জেমসের ভালবাসার কারনেই ট্রয় যুদ্ধের সূচনা এবং দশ বছরের যুদ্ধে ট্রয় নগরী ধ্বংস স্থুপে পরিনিত হয়। 


*** সীতাকে ভালোবাসার কারনেই রাবণ তাকে হরন করে নিয়ে যায় এবং অবশেষে স্বর্গপুরি লঙ্কা জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। 


*** ভালোবাসার কারনেই ইউসুব কে জেলের ঘানি টানতে হয়। 


*** বনবাসী আইয়ুবের মরন ব্যাধি কুষ্ঠকে উপেক্ষা করে ভালবেসেই রহিমা সারাক্ষন তার সঙ্গে থেকে সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলেন। 


*** প্রেমের মালা গলায় দিয়েই সপ্তম এডওয়ার্ড রাজসিংহাসন ছেড়ে দিয়ে পথে নামেন। 


আর এই প্রেমের জন্যই, 
*** সম্রাট শাহজাহান নিজের প্রেমের অম্লান স্মৃতি আক্ষুন্ন রাখার জন্যেই নির্মাণ করেন "তাজমহল"। 


প্রেমের কারনেই, রোমিও-জুলিয়েট, এমন কি শরৎ বাবুর দেবদাসের করুন বেদনার্ত পরিণতি আজো আমাদের হৃদয়ে রক্তপাত ঘটায়। 


তবুও পারথিত মানুষটির আগমনের পতিক্ষায় দাড়িয়ে থেকে থেকে আমরা কেউ কেউ রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা ঘর-বাড়ি হয়ে যাই। হয়ে যাই ট্রাফিক পুলিশ।হার ছিদ্র করা শীত ছোবল মারে। তবু আমরা দাড়িয়ে থাকি প্রিয় মানুষটির অপেক্ষায়। আসার প্রতিক্ষায়। 
                        হায় ভালবাসা!!! 
মনের মানুষটিকে এক পলক দেখার আনন্দের কাছে, ঈদ, দুর্গাপূজা পহেলা বৈশাখ, বড় দিন, মাঘী পূর্ণিমা এবং কি থার্টি ফাস্ট নাইটও কিছু না। 


ভালবাসা মরে গেলে, ঘৃণা হয়ে যায়। সম্রেশ মজুমদারের উক্তিটি অনেক আংশে সত্যি। যার এক ফোটা হাসির কাছে হাজার বিয়ে বাড়ি, ভনভোজন, নাট্যশালা বরাবারের মতো শূন্যতায় সীমাবদ্ধ ছিল।


আবার, ছাড়াছাড়ির পর সেই হয়ে যায় কারো কারো কাছে আহত বাঘ কিংবা অজগরের চেয়েও ভুয়ঙ্কর। 


এতোদিনের মুখোমুখি সহাস্রে বসা, 
সোনালি রোধে হাটা, 
হাত চেপে ধরা কিংবা 
ঝরনার ঝিরঝির হাঁসি। 


বসন্ত-ফাল্গুনের সুরভিতে বর্ণিত বাসনা সাজানো। জোসনার মিনারে ফিসফিসে প্রেমালাপ। প্রঝাপতির মেলায় দুই চোখের বাসর গড়া এবং রঙধনু অভিমান গুলো জাহান্নামের আগুন মনে হয়। 


চলবে......