পাওলু কুয়েলহর এর আলকেমিসট বই থেকে একটি গল্প পড়েছিলাম, সেটা আগে বলে নেই।
এক বাবা তার কিশোর ছেলেকে পাঠালেন পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে, উপদেশের জন্য। ছেলেটি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে পাহাড় ডিঙিয়ে পোঁছাল জ্ঞানী ব্যক্তির প্রাসাদে। জ্ঞানী ব্যক্তির সামনে ভিড়। অনেকেই বসে আছে তার উপদেশ নেয়ার জন্য। ছেলেটি বলল, 'আমি এসেছি আপনার কাছে, বাবা পাঠিয়েছেন, আমাকে উপদেশ দিন। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, তোমাকে উপদেশ দেব। তার আগে তুমি পুরো প্রাসাদ ঘুরে-ফিরে দেখো।
তবে একটাই শর্ত। তোমাকে আমি একটা চামচ দিচ্ছি, চামচে তেল ভরে দিচ্ছি, তুমি পুরো প্রাসাদ ঘুরবে। কিন্তু তোমার চামচ থেকে যেন তেল না পরে যায়। ছেলেটি প্রাসাদটা ঘুরল, আর তক্কে তক্কে রইল, চামচ থেকে তেল ফেলা যাবেনা। ফিরে এসে সে বলল, আমি পুরো প্রাসাদ ঘুরেছি। এবার আমাকে উপদেশ দিন। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, এবার বলো, পাশের ঘরে দেয়ালে কিসের ছবি আছে। ছেলেটি বলল, আমি তো কোনো দিকে তাকাইনি, সারাক্ষণ চামচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, না, প্রাসাদে অনেক কিছু দেখার মতো আছে, সেসবও তোমাকে দেখতে হবে। তবে তেল যেন পড়ে না যায়। ছেলেটি আবার গেল, দেখল, সত্যি, প্রাসাদের নানা কক্ষে নানা কিছু আছে দর্শনীয়। সব দেখে সে ফিরে এসে বলল, হ্যাঁ, এবার আমি বলতে পারব প্রাসাদের কোথাই কি আছে।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, তোমার চামচের তেল কোথাই? ছেলেটি তাকিয়ে দেখল, চামচে তেল নেই।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, এটাই আমার উপদেশ। আমরা চারপাশের সবকিছু দেখব, কিন্ত চামচ থেকে তেল পরতে দেবো না। আবার আমরা তেল ধরে রাখব, কিন্ত চারপাশের সবকিছু দেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করব না।
আজ আমি আপনাদের এমনী এক জ্ঞানী ব্যক্তির কথা বলব। তিনি অন্যের মাঝে তাঁর সামর্থ্য বিলিয়ে দিতেই পছন্দ করেন। উপরের উদাহারন টা তারই জন্য। এই যে আমার ব্লগ, সম্পূর্ণ তার অবদান। তাকে আসলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার সামর্থের মূল্যায়ন করা যাবে না। সে আমার অতি প্রিয় একজন, প্রিয় ফারুক কাকা,
অনেক ধন্যবাদ কাকা।
ভাতিজা মশিউর!
সৌদি আরব।
এক বাবা তার কিশোর ছেলেকে পাঠালেন পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে, উপদেশের জন্য। ছেলেটি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে পাহাড় ডিঙিয়ে পোঁছাল জ্ঞানী ব্যক্তির প্রাসাদে। জ্ঞানী ব্যক্তির সামনে ভিড়। অনেকেই বসে আছে তার উপদেশ নেয়ার জন্য। ছেলেটি বলল, 'আমি এসেছি আপনার কাছে, বাবা পাঠিয়েছেন, আমাকে উপদেশ দিন। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, তোমাকে উপদেশ দেব। তার আগে তুমি পুরো প্রাসাদ ঘুরে-ফিরে দেখো।
তবে একটাই শর্ত। তোমাকে আমি একটা চামচ দিচ্ছি, চামচে তেল ভরে দিচ্ছি, তুমি পুরো প্রাসাদ ঘুরবে। কিন্তু তোমার চামচ থেকে যেন তেল না পরে যায়। ছেলেটি প্রাসাদটা ঘুরল, আর তক্কে তক্কে রইল, চামচ থেকে তেল ফেলা যাবেনা। ফিরে এসে সে বলল, আমি পুরো প্রাসাদ ঘুরেছি। এবার আমাকে উপদেশ দিন। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, এবার বলো, পাশের ঘরে দেয়ালে কিসের ছবি আছে। ছেলেটি বলল, আমি তো কোনো দিকে তাকাইনি, সারাক্ষণ চামচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, না, প্রাসাদে অনেক কিছু দেখার মতো আছে, সেসবও তোমাকে দেখতে হবে। তবে তেল যেন পড়ে না যায়। ছেলেটি আবার গেল, দেখল, সত্যি, প্রাসাদের নানা কক্ষে নানা কিছু আছে দর্শনীয়। সব দেখে সে ফিরে এসে বলল, হ্যাঁ, এবার আমি বলতে পারব প্রাসাদের কোথাই কি আছে।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, তোমার চামচের তেল কোথাই? ছেলেটি তাকিয়ে দেখল, চামচে তেল নেই।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, এটাই আমার উপদেশ। আমরা চারপাশের সবকিছু দেখব, কিন্ত চামচ থেকে তেল পরতে দেবো না। আবার আমরা তেল ধরে রাখব, কিন্ত চারপাশের সবকিছু দেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করব না।
আজ আমি আপনাদের এমনী এক জ্ঞানী ব্যক্তির কথা বলব। তিনি অন্যের মাঝে তাঁর সামর্থ্য বিলিয়ে দিতেই পছন্দ করেন। উপরের উদাহারন টা তারই জন্য। এই যে আমার ব্লগ, সম্পূর্ণ তার অবদান। তাকে আসলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার সামর্থের মূল্যায়ন করা যাবে না। সে আমার অতি প্রিয় একজন, প্রিয় ফারুক কাকা,
অনেক ধন্যবাদ কাকা।
ভাতিজা মশিউর!
সৌদি আরব।
চমৎকার গল্প। জ্ঞানীদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
উত্তরমুছুনঅন্তত একজন মানুষ আমার মনের কথাটা বুঝতে পেরেছে রে ভাতিজা। আর সে হলো তুই। মূলত আমি মানুষের কাছে কিচ্ছু চাই না রে, শুধু মানুষের মনের ভেতর ঘর বেঁধে বসত করতে চাই। আমি নই জ্ঞানী, আমি নই কোনো বিখ্যাত মানুষ। আমি তোদের মতো একজন অতি সাধারন মানুষ। আমি দুঃখ পাই যখন মানুষ আমাকে ভুল বুঝে। মানুষ তো আমরা, কোনো আমরা আশরাফুল মাখলুকাত হতে পারিনা? এ প্রশ্ন সবার জন্য উন্মুক্ত।
উত্তরমুছুন